এক টন আবর্জনার ভেতরে ছিল সাদিয়ার লাশ

Header Ads

নালার ১ টন আবর্জনার ভেতরে ছিল সাদিয়ার লাশ

 

প্রকাশ : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১:৫৭ (পিএম)


সম্প্রতি চট্টগ্রামে চশমা কেনার পর মামার সঙ্গে বাসায় ফিরছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থী সাদিয়া। একপাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে  পা পিছলে যাওয়ায় সাদিয়া পড়ে যান নালায়।

৫ ঘণ্টা তাকে খোঁজার পর এক টন আবর্জনার স্তুপে সাদিয়ার মরদেহ মিলে ।


নালায় পড়ে মারা যান সাদিয়া
নালায় পড়ে মারা যান সাদিয়া


গতকাল সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর ) রাত ২টা বেজে ৫০ মিনিটে চট্টগ্রাম নগর এর  আগ্রাবাদ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্রী 'মেহেরীন মাহবুব সাদিয়া' (২০) এর  লাশ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস এর একটি দল । এর আগে গতকাল রাত সাড়ে ১০টার সময়ে বাদমতলী এলাকায় এক নালায় পড়ে যান মেহেরীন মাহবুব সাদিয়া।



মৃত মেহেরীন মাহবুব সাদিয়া (২০) নগরীর হালিশহর থানা এর বড়পুল মইন্যা পাড়া 'শুক্কুর মেম্বার' এর বাড়ির বাসিন্দা। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এর অধ্যয়নরত ছাত্রী ছিল।


ফায়ার সার্ভিস এর চট্টগ্রাম এর সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন জানান, সড়কের নিচে একটি নালা, তা প্রায় ১০ ফুট প্রশস্ত। আবার এই নালার ভেতরেই আরেকটা নালা পাওয়া আছে, আর সেই নালাটিও ৮ থেকে ১০ ফুট প্রশস্ত। সম্ভবত এটি ৫০ থেকে ৬০ বছর আগে সড়ক উঁচু করার সময়ে অপরিকল্পিত'ভাবে সেই নালা রেখে দিয়েই আরো একটি নালা করা হয়। আর আগের সেই নালা ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ ছিলো। কমপক্ষে সেখানে আনুমানিক প্রায় ৩ টন আবর্জনা জমেছে। অনেক চেষ্টা করার পরেও ডুবুরি সেইখানে যেতে পারেনি। সেই নালাটি আবার টার্ন নিয়েছে কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ দিকে ।


অতঃপর দুই ক্রেন মিলে সেই নালাটির স্ল্যাব উঠিয়ে প্রায় এক টনের মতো আবর্জনা-মাটি,কাঁদা অপসারণ করে ফায়ার সার্ভিস এর কর্মীরা। সেই নালার কমপক্ষে সড়ক থেকে ৭০ ফুট গভীরের আবর্জনায় আটকে ছিল মেহেরীন মাহবুব সাদিয়া। তার নিখোঁজ হওয়ার স্থান থেকে প্রায় ৩০ গজ দূরে ওই নালা থেকে নিহত ছাত্রী মেহেরীন মাহবুব সাদিয়া এর লাশ উদ্ধার করা হয়।


ফায়ার সার্ভিস এর বরাত দিয়ে নগর এর ডবলমুরিং থানার পরিদর্শক ( তদন্ত ) মাসুদ রানা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থী মেহেরীন মাহবুব সাদিয়া নালায় পড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উদ্ধার করার জন্য তার মামা লাফ দেন। কিন্তু তিনি ব্যর্থ হন। পরে নালাটির বিভিন্ন অংশে খোঁজাখুঁজি করেন ডুবুরি দলের সদস্যরা এবং ফায়ার সার্ভিস এর কর্মীরা।


আরও পড়ুন : ৭০ বছর পর মায়ের বুকে ফিরলেন ছেলে


তিনি আরও জানান যে, ডুবুরি টিম সর্ব প্রথমে নালায় নেমে অনেক্ষণ তল্লাশি করে। কিন্তু তখনও সাদিয়াকে পাওয়া যায়নি। অতঃপর ক্রেন নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে। তারপর ক্রেন দিয়ে আবর্জনা অপসারণ করা শুরু হয়। অপসারনের একপর্যায়ে সিটি করপোরেশন এর আরেকটি ক্রেন ঘটনাস্থলে গিয়ে অপসারন কাজে যোগ দেয়। ততক্ষণে সেই সড়ক এবং আশ-পাশের এলাকায় কয়েক হাজার মানুষজন জড়ো হয়ে যায়। ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সঙ্গে স্থানীয় তরুণরাও আবর্জনা অপসারণ করার জন্য যোগ দেন।

(সূত্র : আরটিভি অনলাইন)

Post a Comment

Previous Post Next Post

Google Ads

Next Part Google Ads