ওসির নম্বর ক্লোন করে চেয়ারম্যানের ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক চক্র

ওসির ফোন নম্বর ক্লোন করে চেয়ারম্যানের ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক চক্র

নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চর-জব্বার থানার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) এর সরকারি মুঠোফোন নম্বর ক্লোন করে নিয়ে একটি অনলাইন প্রতারক চক্র ইউনিয়ন পরিষদ এর ( ইউপি ) চেয়ারম্যান এর কাছ থেকে প্রায় চার লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় চর-জব্বার থানায় সাধারণ ডায়েরি ( জিডি ) করা হয়েছে।
ওসির ৪ লাখ টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক চক্র
প্রতীকি ছবি
আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় ইউপি নির্বাচন এ সরকারি বিভিন্ন দপ্তর এর কর্ম-কর্তাদের মেনেজ করার কথা বলে চর-ওয়াপদা ইউপি এর বর্তমান চেয়ারম্যান ও আসন্ন নির্বাচনে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনির আহমেদ এর কাছ থেকে প্রতারক চক্র ওই টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ।
চর-জব্বার থানা সূত্রে জানা গেছে যে,  গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার সময়ে চরওয়াপদা ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান মনির আহমেদ (৬৪) থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করেন, তাঁর ব্যক্তিগত ‘০১৭১৩৬০২৩০৯’ নম্বরে দুপুর “এর দিকে ‘০১৩২০১১১১৬৩’ নম্বর থেকে একটি ফোন আসে। কলদাতা প্রতারক  নিজেকে চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি পরিচয় দেয় এবং  আসন্ন ইউপি নির্বাচন এ নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্যে বিভিন্ন দপ্তর এর কর্মকর্তাদের মেনেজ করবে বলে উক্ত মনির আহমেদ এর কাছে টাকা চান। অতপর ওসির কথা অনুযায়ী ৮ টি মুঠোফোন নম্বরে বিকাশ এর মাধ্যমে মোট ৪ লাখ টাকা পাঠান।
চেয়ারম্যান মনির আহমেদ আরও জানান, টাকা পাঠানোর পর ওসি পরিচয় দানকারী সেই প্রতারক ব্যক্তি রাত ৯ টার দিকে থানায় গিয়ে তাঁকে এই সংক্রান্ত পরবর্তী কার্যক্রম বিষয়ে জানতে বলেন।
পরে গতকাল রাত সাড়ে ১০ টায় চেয়ারম্যান মনির আহমেদ থানায় গিয়ে ওসির সঙ্গে কথা বলে বুঝতে পারেন তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
চরজব্বার থানার ওসি মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, রাত সাড়ে ১০টয় চেয়ারম্যান মনির আহমেদ থানায় আসেন এবং থানায় এসে তাঁকে ইশারা-ইঙ্গিত এর মাধ্যমে প্রথম ফোন দেওয়াসহ নানা বিষয়ে কথা বলতে থাকেন।
পরে চরজব্বার থানার ওসি মোহাম্মদ জিয়াউল হক আরও বলেন যে, কথার একপর্যায়ে বিষয়টি তাঁর সন্দেহ হলে তিনি মনির আহমেদ এর কাছে প্রকৃত ঘটনা কী, তা জানতে চাইলে চেয়ারম্যান মনির আহমেদ পুরো ঘটনা তাঁকে খুলে বলেন। এতে করে নিশ্চিত হওয়া যায়, চেয়ারম্যান মনির আহমেদ মূলত ‘সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের’ খপ্পরে পড়ে চার লাখ হারিয়েছেন। মনির আহমেদ এর অভিযোগে প্রাথমিকভাবে সাধারণ ডায়েরিভুক্ত করে এই বিষয়ে তদন্ত চলছে।
আশা করা যায় যে, অতী শিগগিরই প্রতারক চক্রকে শনাক্ত করা সহ প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া ৪ লাখ টাকা উদ্ধার করা সম্ভব হবে।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *