৪ রানে জয় পেল বাংলাদেশ

Header Ads

শাস রুদ্ধকর ম্যাচে জয় পেল বাংলাদেশ

রানের খরা কেটেছে বাংলাদেশের। নাইম,মাহমুদুল্লাদের ব্যাট এ ভর করে বাংলাদেশ এর সংগ্রহ দারায় নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪১ রান।


বাংলাদেশের ৪ রানে জয়।
"জয়ের ধারা অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ
৫ ম্যাচ সিরিজের টানা ২য় জয় টাইগারদের"

জাবাবে ব্লাক কেপস দের পক্ষে টম ল্যাথাম এর চেষ্টা ছিল শেষ পর্যন্ত। লাথাম তার টি২০ ক্যারিয়ারের প্রথম  ফিফটিতে নিউজিল্যান্ডকে আশা জোগাচ্ছিলেন । শেষের দিকে রান আউট এর হাত থেকে বাঁচলেন লুরুলের ভুলে, মোস্তাফিজুর রহমানের নো বল এর সঙ্গে আদায় করলেন আরও ৪ টি রান। তবুও শেষমেশ বাংলাদেশের জয়ের জন্য শুধু অপেক্ষাটাই বাড়াতে পারলেন ক্যাপটেইন টম ল্যাথাম। ১৪১ রানের পুঁজি নিয়ে বাংলাদেশ সিরিজের ২য় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জিতেছে ৪ রানে। এ সিরিজের পরপর দুই জয়ের আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কোনো জয় ছিল না টাইগারদের, অবশেষে কিউইদের বিপক্ষে পরপর দুই জয় হয়ে গেল সাকিবদের - মাহমুদু্ল্লাহদের।


নির্ধারিত ২০ ওভারে জয়ের জন্য ১৪২ রান তাড়া করতে নেমে নিউজিল্যান্ড প্রথম উইকেট হারায় তৃতীয় ওভার এর শেষ পর্যায়ে । অপেক্ষায় ছিল টিম বাংলাদেশকে। ব্লাক কেপসদের রচিন রবীন্দ্র সাকিবকে ১ টি ছয় মেরে বোলিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আর পরের বলেই সাকিবের আসল জাত চিনলো রবীন্দ্রই, সাকিব নিলেন প্রতিশোধ। তবে এটা বলা ভালো যে, স্বয়ং রবীন্দ্রই উপহার দিলেন তার উইকেট। মারার চেষ্টা করলেও নিচ হওয়া বলে ব্যাট লাগাতে ব্যর্থ হন রবীন্দ্র । তার পরের ওভারেই মেহেদী হাসানের দারুণ এক আর্ম বলে স্টাম্পড হয়ে টম ব্লান্ডেল মাঠ ছাড়লেন। দলীয় ১৮ রানেই ২য় উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় টিম নিউজিল্যান্ড।


ব্লাক কেপস অধিনায়ক টম ল্যাথামের সঙ্গে ইয়াংয়ের জুটি সে চাপ থেকে উদ্ধার করেছিল নিউজল্যান্ড কে। পাওয়ার প্লেতে প্রথম ৬ ওভারে ২৮ রান তুললেও অবশেষে ১০ ওভারে সংগ্রহ করেছিল ৫৭ রান। ঠিক এরপরই পথ হারায় নিউজল্যান্ড দলটি। ২৮ বলে ব্যক্তিগত ২২ রান করা ইয়াংকে সাজ ঘরে ফিরিয়ে ল্যাথামের সঙ্গে ৪৩ রানের জুটি ভেঙে দিলেন সাকিব। টি-টোয়েন্টি ফরমেটে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি শ্রীলংকান কিংবদন্তি লাসিথ মালিঙ্গার রেকর্ড ভাঙতে সাকিবের দরকার ছিল আর ১ টি উইকেট, কোল ম্যাকনকি কে এলবিডব্লু আউট করে সাজ ঘরে ফেরানোর পথে নিয়েছিলেন বাংলার ক্রিকেট রাজপুত্র।


অবশ্য  রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেছেন কোল ম্যাকনকি, সাকিব এর অপেক্ষাও বেড়েছে তাই। এর আগেই কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম এবং হেনরি নিকোলস সাঁজ ঘরে ফিরেছেন মাত্র ৭ রানের ব্যবধানে।গ্র্যান্ডহোম নাসুম আহমেদকে এবং নিকোলস মেহেদীকে উড়িয়ে  মারতে গিয়ে উইকেট হারালেন। তবে এরপরেই কোল ম্যাকনকিকে সাথে নিয়ে লড়াই চালিয়ে গেছেন টম ল্যাথাম।


টম ল্যাথামও এলবিডব্লু থেকে রিভিউ নিয়ে বেঁচে গেলেন , তখন তাঁর ব্যক্তিগত রান ছিল ২৮।  অবশ্য সেটাই প্রথম জীবন পাওয়া ছিলনা টাম লাথাম এর। ৩৮ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করার পর ১৯তম ওভারে রান আউট হতে পারতেন লাথাম, তবে নুরুল হাসান  এর ভুলে স্টাম্প ভেঙে দেওয়ায় বেঁচে যান আরও একবার।


শেষ ৪ ওভারে এর ২৪ বলে  নিউজিল্যান্ড দলের প্রয়োজন ছিল ওভার প্রতি ১২:০০ এ ৪৮ রান। কিন্তু পরের ১৮ বলে ২৮ রান তুলতে সক্ষম হয় নিউজল্যান্ড। মোস্তাফিজুর রহমানের করা শেষ ওভারে  নিউজল্যান্ড এর ২০ রান প্রয়োজন থাকলেও একটু নাটক বাকিই ছিল । শেষ ২ বলে ১৩ রান দরকার ছিল টিম নিউজল্যান্ড এর। ৫ নম্বর বলে মোস্তাফিজ এরহাত থেকে ফসকে গিয়ে বলটা হয়ে গেল "বিমান"। সেটাতে আবার শেষ মুহূর্তে ব্যাট লাগিয়ে ৪ রান আদায় করে ফেলেন টম ল্যাথাম। ৫ নম্বর বলে পায়ে লেগে ২ রান সংগ্রহে এলেও শেষ বলে আর  হয়নি নাটক , টম ল্যাথাম নিতে পেরেছেন একটা সিঙ্গেলই। শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক লাথাম ব্যক্তিগত অপরাজিত ৪৯ বলে ৬৫ রান করেন, তাঁর সঙ্গী কোল ম্যাককনকি অপরাজিত ছিলেন ১২ বলে ১৫ রানে।

অবশেষে ৪ রানে জয় পেল বাংলাদেশ ।

Post a Comment

Previous Post Next Post

Google Ads

Next Part Google Ads