সম্প্রতি ভারত এর নাগপুরে জরুরি অবতরণ করা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস এর পাইলট নওশাদ আতাউল কাইয়ুম (৪৪) আর নেই । ( ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি-রাজিউন )। তিনি নাগপুর এর কিংসওয়ে হাসপাতাল এর নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) তে ‘কোমায়’ ছিলেন। অতঃপর তাঁকে ভেন্টিলেটরও দেওয়া হয়েছিল।
![]() |
পাইলট নওশাদ আতাউল কাইয়ুম |
আজ সোমবার (৩০-০৮-২০২১) বিকেল তিনটার দিকে পাইলট নওশাদ এর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন 'বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশন' (বাপা) এর সভাপতি মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আজ বেলা ১১:০০ টার দিকে পাইলট নওশাদের ভেন্টিলেটর খুলে দেওয়ার পর তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
এদিকে 'বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস' এর উপ-ব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার বিকেল সাড়ে তিনটার সময়ে বলেন, ক্যাপ্টেন নওশাদ মারা যাওয়ার বিষয়টি আমাদের কাছে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁকে কখন দেশে আনা হবে এবং কখন নওশাদ মারা গেলেন এ বিষয় এ পরে জানানো হবে।
গত শুক্রবার ভোরে ওমান এর মাসকাট থেকে ১২৪ জন বিমান যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ নামক ফ্লাইট'টি ঢাকায় আসার পথে ভারত এর আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুম অসুস্থ বোধ করেন এবং পরে বিমানটিকে ভারতের নাগপুরের "ডক্টর বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর" এ ইমারজেন্সি অবতরণ করানো হয়েছিলো।
(বোয়িং ৭৩৭-৮০০) মডেল এর সেই বিমানটি'তে ১২৪জন যাত্রী ছিলেন। সেই ফ্লাইটটি'তে যাত্রী ছাড়াও আরও ৬ জন ক্রু সদস্য ও ১ জন কো-পাইলট ছিলেন আর তাঁরা সবাই নিরাপদে ছিলেন। শুক্রবারই অন্য একটি ফ্লাইটে করে ৮ সদস্যের ১টি উদ্ধারকারী দল ভারতের নাগপুরে যায়। মাঝ রাতের পর বিমানটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দর এ নিয়ে আসা হয়েছিলো।
ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতাল এর মেডিকেল সার্ভিসেস এর পরিচালক সুভরজিৎ দাশগুপ্ত, ক্রিটিক্যাল কেয়ার ফিজিশিয়ান রঞ্জন বারোকা এবং বীরেন্দ্র বেলেকার এর অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন ক্যাপ্টেন কাইয়ুম নওশাদ ।
Post a Comment